এবার ঘটনাবহুল এক ম্যাচের স্বাক্ষী হলেন বেঙ্গালুরুর দর্শকরা। রানফোয়ারার জন্য পরিচিত মাঠে ভারত-আফগানিস্তান কেউ কাউকেই ছাড় দেয়নি। নির্ধারিত ৪০ ওভারের খেলা টাই হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে, সেটিও টাই হলে দ্বিতীয় সুপার ওভারের প্রয়োজন পড়ে।
যেখানে আর ভারতকে ঠেকাতে পারেনি আফগানরা। দ্বিতীয় সুপার জিতে ৩-০ ব্যবধানে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে রোহিত শর্মার দল। প্রথম সুপার ওভার টাই হওয়ার পর দ্বিতীয় সুপার ওভারে ১১ রান তোলে ভারত। মাত্র তিন বলে খেলে এই ১১ রান করেন রোহিত শর্মা।
এরপর তিন বলের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে এক রান তুলতে পারে আফগানিস্তান। ১০ রানে জিতে সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ভারত। এদিকে প্রথম সুপারে আফগানিস্তানের তোলা ১৬ রানের সমান রান করে ভারত, এই সুপার ওভারের একটি ঘটনাতে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক।
এদিকে ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় ওভারের পঞ্চম বলে রোহিত শর্মা মাঠ থেকে উঠে যান রিটায়ার হার্ট হিসেবে, তবে কোনো ধরনের চোট পাননি তিনি। ফলে রোহিতের বিষয়টিকে ধরা হয়ে থাকে রিটায়ার আউট হিসেবে, কোনো ব্যাটসম্যান রিটায়ার আউট হলে সেই ম্যাচে আর তিনি ব্যাট করতে পারবেন না, কিন্তু দ্বিতীয় সুপার ওভারেও ব্যাট করতে নামেন রোহিত।
এদিন ম্যাচশেষে ভারত কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেছেন, রোহিত রিটায়ার আউট ছিলেন। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে দ্বিতীয় সুপার ওভারে তার ব্যাটিং বৈধ ছিল না। আইসিসি প্লেয়িং কন্ডিশনের ২২ নাম্বার ধারা অনুযায়ী, প্রথম সুপার ওভারে আউট হওয়া ব্যাটসম্যান পরের সুপার ওভারে ব্যাট করতে পারেন না।
আফগানিস্তানও প্রথম সুপার ওভারে বোলিং করা আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে দ্বিতীয় সুপার ওভার বোলিং করাতে চেয়েছিল। তবে সেটা তারা করতে পারেনি। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বোলার একটির বেশি সুপার ওভার করতে পারবেন না। পরে বল করেছেন ফরিদ। আউট হওয়া ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হলেও রোহিত কীভাবে ব্যাটিং করেছেন, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। যদিও আইসিসি বা ম্যাচ অফিশিয়ালদের কেউ এই বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি।